
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহীদের হামলা তীব্রতর হওয়ায় এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা বেড়ে যাওয়ায় একটি জাতীয় ঐক্য সরকার প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
আফ্রিকা নিউজ জানিয়েছে, রুয়ান্ডা সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি 'সেক্রেড ইউনিয়ন অব দ্য নেশন'র ক্ষমতাসীন জোটকে উদ্দেশ্য করে অভ্যন্তরীণ বিরোধের চেয়ে ঐক্যের দিকে মনোনিবেশের জন্য আহ্বান জানান।
শিসেকেদি বলেন, 'আমি একটা লড়াই হেরে যেতে পারি, কিন্তু যুদ্ধে তো হারিনি। বিরোধীসহ সবার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করা হবে।' যদিও তিনি সরকারের কাঠামো বা সময়সীমা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কিছু জানাননি।
পূর্ব কঙ্গোতে ক্ষমতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১০০টিরও বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য 'এম২৩' বিদ্রোহীরা এই অঞ্চলটি দখলের পর দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখল করার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৩ হাজার লোক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে।
তিন সপ্তাহের দ্রুত অভিযানে এম২৩ পূর্ব কঙ্গোর প্রধান শহর গোমার নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বুকাভুও দখল করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রায় চার হাজার রুয়ান্ডার সেনা রয়েছে। তারা এক হাজার মাইল দূরে অবস্থিত রাজধানী কিনশাসায় অগ্রসর হওয়ার হুমকি দিয়েছে।
১৯৯৪ সালে তুতসি জাতিগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যামূলক সংঘাতে জাতিগত হুতু যোদ্ধাদের নিয়োগের জন্য কঙ্গোর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ তুলে আসছে রুয়ান্ডা। এম২৩ বিদ্রোহীরা রুয়ান্ডার বংশোদ্ভূত তুতসিদের 'বৈষম্য থেকে মুক্তি এবং কঙ্গোলিজকে রক্ষা'র দাবি জানায় এবং কঙ্গোকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য সামনে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।