
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার একটি ড্রোন চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের প্রতিরক্ষা স্তরে আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে আগুন লাগলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ নিশ্চিত করেছে, চেরনোবিলের ভেতরে ও বাইরে বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’
রাশিয়া অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মস্কোর দাবি, তারা ইউক্রেনের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায় না এবং এ ধরনের অভিযোগ ‘বাস্তবতাসঙ্গত নয়’।
১৯৮৬ সালের ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর চেরনোবিল চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশে কংক্রিট ও স্টিলের প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়। যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিম স্মিথ জানিয়েছেন, ‘একটি ড্রোন হামলা এই প্রতিরক্ষা স্তর ভেদ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।’
এদিকে, জেলেনস্কি দাবি করেছেন, এই হামলা প্রমাণ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত নন। হামলার সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুদ্ধ অবসানের জন্য পুতিন আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন।
প্রায় চার দশক আগে চেরনোবিল দুর্ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাব রয়েছে। জাতিসংঘের মতে, সরাসরি বিকিরণে ৫০ জন মারা যান এবং ভবিষ্যতে আরও ৪ হাজার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম