যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় পটোম্যাক নদী থেকে অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনুসন্ধান কার্যক্রমের সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণের আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর দুটি উড়োযানই পটোম্যাক নদীতে পড়ে যায়।
উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রুসহ ৬৪ জন আরোহী ছিলেন। পিএসএ এয়ারলাইনসের বম্বার্ডিয়ার সিআরজে ৭০০ উড়োজাহাজটি ক্যানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটনে যাচ্ছিল। আর হেলিকপ্টারে তিনজন আরোহী ছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর জরুরি সাড়াদান কর্মীদের ‘অবিশ্বাস্য’ কর্মতৎপরতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কিত আরও তথ্য পেলে পরবর্তী সময়ে তা বিস্তারিতভাবে জানাবেন তিনি।
মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সংঘর্ষে উড়োজাহাজটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি পটোম্যাক নদীতে পড়েছে। ডুবুরিরা নদীতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। হেলিকপ্টারটিও বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহাজটির কাছাকাছি নদীতেই পড়েছে হেলিকপ্টারটি।
বিবিসি জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সঙ্গে এই সংঘর্ষ হয়েছে। ফ্লাইটটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন কেবিন ক্রু এবং হেলিকপ্টরটিতে তিন সেনাসদস্য ছিলেন।
সিবিএসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বম্বার্ডিয়ার সিআরজে ৭০০ সিরিজের উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে কানসাস থেকে ওয়াশিংটনে যাচ্ছিল। এফএএ ও ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) ঘটনার তদন্ত করছে। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসির জরুরি সেবা দল রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়েছে।