শনিবার,

১১ জানুয়ারি ২০২৫,

২৭ পৌষ ১৪৩১

শনিবার,

১১ জানুয়ারি ২০২৫,

২৭ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্প, যে আশঙ্কার কথা জানালেন 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্প, যে আশঙ্কার কথা জানালেন 

চলতি সপ্তাহে চীনের তিব্বতে ৬.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১২৬ জন নিহত হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় চারটি জলাধার। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এশিয়ার দুই জায়ান্ট চীন ও ভারত বিশ্বের অন্যতম দুর্গম এলাকায় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। খবর রয়টার্স 

গবেষকরা জানিয়েছেন, হিমালয় অঞ্চলে ৬৮টি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। যেখানে রয়েছে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থার মধ্যে আরও ১০১টি বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 

শক্তিশালী ভূমিকম্পের আগেও বিশেষজ্ঞরা মাউন্ড এভারেস্ট অঞ্চলের উত্তর প্রবেশদ্বারে দুই দেশের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উচ্চাভিলাষী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। যার একটি উদাহরণ হচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণ পরিকল্পনা। 

চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় যে জলবিদ্যুৎ বাধ নির্মাণ করতে যাচ্ছে, তা থ্রি গর্জেস বাঁধের চেয়ে তিনগুণ বড়। এই বাঁধের মাধ্যমে ৩৪ গিগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে দেশটি। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যে চীন এ পদক্ষেপ নিয়েছে। 

চীনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান খনিজ ব্যুরো ও সাবেক ভূতাত্ত্বিক প্রকৌশলী ফান শিয়াও ২০২২ সালে মতুয়া প্রকল্প নিয়ে একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের কথা তুলে ধরেন। যাতে বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। প্রকল্পটি ওই বছরের ডিসেম্বর শেষে অনুমোদন দেয় চীন। 

রয়টার্সের পক্ষ থেকে ওই আর্টিকেলের বিষয়ে জানতে চেয়ে ম্যাসেজিং অ্যাপ উইচ্যাটে বার্তা পাঠালেও তার কোনো জবাব দেয়নি ফান।

অতীতেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে বাঁধে ক্ষতির চিহ্ন দেখা গেছে। বিশেষ করে ২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে দেশটি তার জলবিদ্যুৎ বাঁধের এক পঞ্চমাংশ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রাখে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজের একজন ভূতাত্ত্বিক সি পি রাজেন্দ্রন বলেছেন, হিমালয়ে আরও বাঁধ নির্মাণ টেকসই নয়। 

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের