স্ত্রীর মানসিক নির্যাতন এবং অপ্রয়োজনীয় চাহিদার ফলে আত্মহত্যা করেছেন ৪০ বছর বয়সী পুনেত কুরানা। দিল্লিতে তার একটি নিজস্ব ক্যাফে রয়েছে। আত্মহত্যা করার আগে একটি ভিডিও রেকর্ড রেখে গেছেন কুরানা। ওই ভিডিওতে তিনি স্ত্রী মানিকা পাওয়া ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ করে গেছেন। খবর এনডিটিভি
কুরনা তার রেকর্ডকৃত ভিডিওতে চলমান ডিভোর্ড প্রক্রিয়া এবং স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এছাড়া তার কাছে ১০ লাখ রুপি দাবি করাসহ আরও একাধিক আবদার করা হয়, যা তার পক্ষে বহন করা সম্ভব হয়নি।
কুরানার পরিবারের দাবি, তার স্ত্রী মানিকা পাওয়া, বোন এবং শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বিভিন্নভাবে মাননিক নির্যাতন করেছে। এছাড়া স্ত্রী মনিকা কুরানার ফেসবুক হ্যাক করেও নির্যাতন করেছে।
কুরানার মা অভিযোগ করেন, তার ছেলে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে কখনও মুখ খুলতেন না। বরং সমস্যাকে বড় না করে একাই সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর অত্যাচারে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে দিল্লি পুলিশ একটি কল পায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখতে পায় কুরানার গলায় একটি দাগ রয়েছে। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিডিও রেকর্ড উদ্ধার করেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম