রোববার,

০৫ জানুয়ারি ২০২৫,

২১ পৌষ ১৪৩১

রোববার,

০৫ জানুয়ারি ২০২৫,

২১ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

ভারত সরকারের ব্লু প্রিন্ট মেনে অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে বিএসএফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:১১, ২ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২০:১৫, ২ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
ভারত সরকারের ব্লু প্রিন্ট মেনে অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে বিএসএফ

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্লু প্রিন্ট মেনে পশ্চিমবঙ্গে গুণ্ডাদের অনুপ্রবেশ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সহযোগিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজ্য সচিবালয় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার এবং বিএসএফ-কে কড়া বার্তা দেন তিনি।

এদিন মমতা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের খারাপ সম্পর্ক নেই, তবে বিএসএফ-এর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশে সহায়তা করা হচ্ছে। তার কথায়, ‘আমাদের কাছে খবর আছে ইসলামপুর, সিতাই, চোপড়া এবং আরও অনেক জায়গা দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে বিএসএফ, তারা মেয়েদের ওপর অত্যাচার করছে।’

মমতা প্রশ্ন তুলে বলেন, জেলা কর্মকর্তারা কেন এ নিয়ে প্রতিবাদ করছেন না ? এ সময় কোন কোন এলাকা দিয়ে লোক ঢোকানো হয়েছে, তা নিয়ে ডিজি রাজীব কুমারের কাছে রিপোর্টও চান মমতা।

মমতা আরও বলেন, ‘সীমান্ত আমাদের হাতে নয়, বিএসএফ-এর হাতে। বাইরে থেকে কারা আসছে, সেই হিসেব আমাদের হাতে নেই, কেন্দ্রের হাতে। বিমানে চেপে যারা আসে, আগে সেই তালিকা দেয়া হতো, এখন দেয়া হয় না। ফলে কারা আসছে, কারা ঢুকছে জানতে পারি না। ট্রেন, বাস সব চলছে। কেউ যদি মনে করে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করবো, এটা তৃণমূল করছে না। তৃণমূলের অধিকার নেই, সাধ্যও নেই। সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বিএসএফ, ভাল করে শুনে রাখুন। কেউ কেউ বিএসএফ-এর দায় তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন। তাদের বলব, সংযত হন, সংবেদনশীল হোন, ন্যায়-অন্যায় দেখুন।’

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তৃণমূল সীমান্ত পাহারা দেয় না, পুলিশও দেয় না, বিএসএফ পাহারা দেয়। তবে পুলিশের কাছে তথ্য আসে, জেলাশাসকের কাছেও তথ্য থাকে। অর্থাৎ পুলিশ এবং জেলাশাসকরা দায়িত্ব পালন করেননি। রাজীব কুমারের কাছ থেকে এবং স্থানীয় সূত্র থেকে কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি, আমার রিপোর্ট চাই। কড়া চিঠি লিখব আমি। আমরা চাই, ওখানেও শান্তি থাক, এখানেও থাক। আমাদের দুই বাংলার মধ্যে কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই।’

মমতার কথায়, ‘একভাষায় কথা বলি, চিকিৎসার কারণে, মানবিকতার কারণে কেউ আসতেই পারেন। কিন্তু আমাদের জানাতে হবে। এখানে গুণ্ডা পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। সীমান্ত পেরিয়ে এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। এমন লোক পাঠানো হচ্ছে। বিএসএফ-এর অনেক ভেতরের কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্লু প্রিন্ট আছে এর মধ্যে। না হলে এটা হতে পারত না। বারবার কেন্দ্রকে বলেছি, আপনারা যা করবেন, আমাদের সেটাই পথ। কিন্তু যদি দেখি আমার রাজ্যকে ডিস্টার্ব করতে জঙ্গি হানায় কেউ মদত দিচ্ছেন, তাহলে তো প্রতিবাদ করতেই হবে। আমাদের প্রতিবাদপত্র যাবে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে প্রতিবেশী পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতেও। বেআইনি অনুপ্রবেশ, পাসপোর্ট জালিয়াতি ও জঙ্গি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সদস্য আটকসহ একাধিক মামলা সামনে এসেছে। এমন ঘটনায় লাগাতার রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেই চলেছিল বিরোধী বাম, বিজেপি। এবার সীমান্তে অনুপ্রবেশের দায় সীমান্তরক্ষীবাহিনীর বলে পাল্টা জবাব দিলেন মমতা।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের