মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া ও ইরানের একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাগুলো ইরানের অভিজাত বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সহায়ক একটি সংস্থা এবং রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (জিআরইউ)-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়েছে।
মার্কিন অর্থ বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করতে এবং মার্কিন সমাজে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে কাজ করছে। অর্থ বিভাগের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাডলি স্মিথ বলেছেন, ‘ইরান ও রাশিয়া আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছি।
এদিকে, রাশিয়া মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়া কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবে না। তারা দাবি করেছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার বলেছেন, রাশিয়া আমেরিকান জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানায় এবং ‘রুশ ষড়যন্ত্র’ সম্পর্কে অভিযোগ শুধুমাত্র অপপ্রচার।
মার্কিন অর্থ বিভাগ আরও জানায়, ইরান ও রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে, মস্কো-ভিত্তিক সেন্টার ফর জিওপলিটিক্যাল এক্সপার্টাইজ (সিজিই) একটি ভিডিও তৈরি করে, যা নির্বাচনী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এসব কৃত্রিম তথ্য ছড়ানোর জন্য অন্তত ১০০টি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, সিজিই ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং তারা এসব কার্যক্রমে রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় কাজ করছিল।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম