পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ মিশনের দূত পদে মনোনীত রিচার্ড গ্রেনেল। তার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তবে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের দেশের সার্বভৌমত্বে প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের।
গ্রেনেল ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। ইমরানের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে দিয়ে তিনি পাকিস্তানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু আসেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে একটি পার্লামেন্টারি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান। তারপর বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ মামলা হয়েছে। কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি এখন কারাগারে বন্দী।
গত ২৬ নভেম্বর সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক বার্তায় গ্রেনেল লিখেন, ইমরান খানকে মুক্তি দিন। ওই দিন মধ্যরাতে ইসলামাবাদের ডি-চকে পিটিআই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল পাক সরকার।
তার একদিন আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে গ্রেনেল বলেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যখন ইমরান খান পাকিস্তানের নেতা ছিলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সম্পর্ক অনেক ভালো ছিল। কারণ তিনি ছিলেন একজন বহিরাগত।
তার ভাষায়, তিনি (ইমরান খান) একজন সাবেক ক্রিকেটার। রাজনীতিবিদ ছিলেন না এবং সাধারণ ভাষায় কথা বলতেন। তার সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।
ইমরানের মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ট্রাম্পের মতোই ইমরান খানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাসক দল তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে গ্রেনেল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। যার মধ্যে ছিল জার্মানিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, সার্বিয়া ও কসোভো শান্তি আলোচনা বিশেষ দূত এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম