ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের জন্য টাইম ম্যাগাজিনের পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এটি ট্রাম্পের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো বড় স্বীকৃতি, এর আগে ২০১৬ সালে প্রথমবার এই সম্মান লাভ করেন তিনি।
টাইম ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক স্যাম জ্যাকবস এক বিবৃতিতে বলেন, ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের জন্য, এক প্রজন্মে একবার ঘটে এমন রাজনৈতিক পুনর্গঠনের জন্য, এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্সি ও বিশ্বের মধ্যে আমেরিকার ভূমিকা পুনর্গঠনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাদের ২০২৪ সালের পারসন অব দ্য ইয়ার।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় ছিল এক অভূতপূর্ব রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন। প্রথমবারের মতো তিনি জনপ্রিয় ভোটে জয়ী হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি সুইং স্টেটে রিপাবলিকান আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। তার জয় তরুণ ভোটারদের বিশেষত পুরুষদের নতুনভাবে সক্রিয় করেছে, যা তার বিজয়ের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত।
৭৮ বছর বয়সে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়লেন। এ ছাড়া, তিনি প্রথম দণ্ডিত ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছরের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত তাকে ৩৪টি প্রতারণার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে।
এ সম্মান স্মরণে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রাম্প উদ্বোধনী ঘণ্টা বাজাবেন। অনুষ্ঠানে তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
টাইম ম্যাগাজিন ১৯২৭ সাল থেকে প্রতি বছর এমন একজন ব্যক্তি বা আন্দোলনকে এই স্বীকৃতি দিয়ে আসছে, যারা ওই বছর বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে। এর আগের বিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন গ্রেটা থানবার্গ, বারাক ওবামা, পোপ ফ্রান্সিস এবং ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ট্রাম্পের প্রতি এই স্বীকৃতি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তার ছেলে হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত এবং টাইমের ২০২৪ সালে টেলর সুইফটকে প্রথমবার পারসন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত করার সমালোচনা নিয়ে বিতর্ক চলছে। তবে ট্রাম্প তার নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাকে “বিশেষ সম্মান” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নিজের অনুভূতি জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, টাইম ম্যাগাজিনের কভারে আসা সবসময়ই সম্মানের। এটি আমার জন্য বিশেষ কিছু, কারণ আমি ছোটবেলা থেকেই এই ম্যাগাজিন পড়ে এসেছি। সূত্র- বিবিসি