সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিক্ষোভকারীরা সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে এগোনোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাদের ঠেকাতে রোববারই ইসলামাবাদে নিরাপত্তা লকডাউন জারি করা হয়।
ইমরানের ‘চূড়ান্ত ডাক’-এর আহ্বানে রোববার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলামাবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে গাড়িবহর নিয়ে ছুটে আসে সমর্থকরা। পুলিশের তীব্র দমন-পীড়ন, রাস্তা অবরোধ ও গণগ্রেপ্তারের পরও ইসলামাবাদমুখী গাড়িবহর এগিয়ে যাচ্ছে। আর এতে যোগ দিয়েছেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিও। তিনি বলেছেন, ইমরান খানের মুক্তি ছাড়া ঘরে ফিরবেন না। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পিটিআইর এ বিক্ষোভকে বেআইনি ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। এর আগে ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। নিষিদ্ধ করা হয় সব ধরনের সভা-সমাবেশ। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসলামাবাদের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। এ সময় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
যেহেতু চূড়ান্ত বিক্ষোভে সমর্থকদের উদ্দেশে রাজধানীতে থাকার এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান, তাই সোমবার ইসলামাবাদের ডি চক এলাকায় সমবেত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিটিআইর নেতাকর্মীরা। তবে গতকালও শক্ত প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় ইমরানের কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে দলের পাঁচজন সংসদ সদস্যও আছেন।
ইমরানের সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছেন শাহবাজ শরিফরা। তাই তাদের পদত্যাগ করতে হবে। ইমরানসহ পিটিআই দলের যে নেতারা বন্দি আছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। খবর ডন ও বিবিসির।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম