হোয়াইট হাউজে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার এ বৈঠক হয়। এ সময় শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা প্রকাশ করেন তারা। খবর আল-জাজিরার।
বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাজনীতি খুবই নিষ্ঠুর। অনেক ক্ষেত্রে এটি খুব জটিল বিষয়। তবে আমি বিশ্বাস করি, এটি (বৈঠক) খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রশংসা করি, এটি যতটা সম্ভব শান্তিপূর্ণ হবে।
ঐতিহ্যবাহী ওভাল অফিসের বৈঠকের শুরুতে দুই নেতাই জানান যে তারা একটি কঠিন রাজনৈতিক প্রচারণার পরে ক্ষমতা কতটা সহজে হস্তান্তর করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এর আগে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটনে পৌঁছান ট্রাম্প। গত সপ্তাহের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন ট্রাম্প। ট্রাম্প তার নিজস্ব ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান বিমানে করে জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রু বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্টদের ঐতিহ্যগত সৌজন্য অনুযায়ী বাইডেন ট্রাম্পকে স্বাগত জানান। একজন রিপাবলিকান হিসেবে ট্রাম্প ২০২০ সালে বাইডেনের সঙ্গে যেটা করেননি।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিয়মে বিশ্বাস করেন, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাস করেন।’
বাইডেন-ট্রাম্পের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাঁর মতামত জানতে চেয়েছিলাম এবং তিনি আমাকে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। একইভাবে আমরা মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কেও অনেক কথা বলেছি। আমরা কোথায় আছি এবং তিনি কী ভাবছেন সে সম্পর্কে আমি তার মতামত জানতে চেয়েছিলাম। এবং তিনি সেগুলি আমাকে দিয়েছিলেন। তিনি খুব প্রাণবন্ত মানুষ।
বাইডেন ও ট্রাম্প বছরের পর বছর ধরে একে অপরের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাদের দলীয় নীতিও আলাদা ছিল, তা জলবায়ু পরিবর্তন থেকে রাশিয়া এবং বাণিজ্য যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন। ৮১ বছরের বাইডেন ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে চিত্রিত করেছেন, অন্যদিকে ৭৮ বছরের ট্রাম্প বাইডেনকে অযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন।
জুনে নির্বাচনী বিতর্কের পর এটিই দুই নেতার প্রথম বৈঠক। জিন-পিয়েরে অবশ্য তাদের বৈঠকে কী কথাবার্তা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম