বৃহস্পতিবার,

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪,

১২ পৌষ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪,

১২ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

ভোটের জন্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশে মদদ দেওয়া হচ্ছে: নরেন্দ্র মোদী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৫ নভেম্বর ২০২৪

Google News
ভোটের জন্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশে মদদ দেওয়া হচ্ছে: নরেন্দ্র মোদী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি তোষণের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য এদের গোটা ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।’’

সোমবার পলামু অঞ্চলের গঢ়ওয়ায় বিজেপির সভার তিনি এই অভিযোগ করেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে টার্গে করে মোদী বলেন, ‘‘প্রশাসন যখন অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে।" ঝাড়খণ্ডের বিরোধী জোটকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং মাফিয়াদের দাস’ বলেও মন্তব্য করেন মোদী।

এর আগে গতকাল (রোববার) ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে টার্গেট করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু তারা তা করছে না। একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।

তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। অসমেও আছে, বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে।’’

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তকে নিশানা করে অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে কোথাও নদীনালা রয়েছে, কোথাও পাহাড় রয়েছে। সর্বত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি হেমন্তবাবুকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, ঝাড়খণ্ডে যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী ঢোকে, আপনার ভূমিরাজস্ব দফতর তখন কী করে? জেলাশাসকেরাই বা কী করছেন? পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন জানানো হচ্ছে না?’’

প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের ৮১টি আসনে দু’দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের ফলাফল জানা যাবে ২৩ নভেম্বর। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’-এর সঙ্গে রয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। বিজেপি এ বার প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাতোর ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু), বিহারের নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (রামবিলাস) জোট করেছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের