বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভ দিনে সামরিক তৎপরতা কমেছে। সেনা প্রত্যাহার করে শুরু হলো স্বাভাবিক নজরদারি। সীমান্তে মিষ্টি আদানপ্রদান করেছে দুই দেশের সেনারা। সীমান্তে নজরদারি নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় বসবে দুই দেশ।
২০২০ সালের ৩১ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত সীমান্তে স্রেফ টহলদারি চালাত দুই দেশ। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে সীমান্তে বাড়তে থাকে চীন-ভারতের সেনা মোতায়েন। এমনকি অস্থায়ী ছাউনিসহ নানা নির্মাণও দেখা যায় সীমান্ত এলাকাজুড়ে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা বাড়ে। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে যোগ দেওয়ার ঠিক আগেই সেনা সরানো এবং ২০২০ সাল থেকে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলো সমাধান করতে দুই দেশ একমত হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিস্রি জানান, সামরিক তৎপরতা কমিয়ে কেবলমাত্র টহলদারির সেই পুরনো ব্যবস্থায় ফিরে যাবে দুই দেশ। চীনের পক্ষ থেকেও একই কথা জানানো হয়েছে বিবৃতি জারি করে। তার পরেই গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয় সেনা সরানোর প্রক্রিয়া। বুধবার দুপক্ষের তরফে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। কীভাবে কোন এলাকায় নজরদারি চলবে সেই নীল নকশাও তৈরি করছেন গ্রাউন্ড কমান্ডাররা।
বৃহস্পতিবারই সেনাবাহিনীর পক্ষ জানানো হয়, ডেমচক এবং দেপসাংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক নজরদারি। তবে এখনও যেসমস্ত সমস্যা রয়েছে সেগুলো মেটানোর জন্য নিয়মিত আলোচনায় বসবেন দুই দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডার পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সীমান্ত এলাকায় যেন কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেদিকেও নজর রাখবেন তারা। সাড়ে চার বছর পর আজ দীপাবলি উপলক্ষে একে অপরকে মিষ্টি উপহার দিলেন দুই দেশের সেনারা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম