সোমবার,

২৮ অক্টোবর ২০২৪,

১২ কার্তিক ১৪৩১

সোমবার,

২৮ অক্টোবর ২০২৪,

১২ কার্তিক ১৪৩১

Radio Today News

দখলকৃত বসতি সরিয়ে নিতে হিজবুল্লাহর নজিরবিহীন নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৫২, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

Google News
দখলকৃত বসতি সরিয়ে নিতে হিজবুল্লাহর নজিরবিহীন নির্দেশ

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ২৫টি অবৈধ বসতি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। হিজবুল্লাহ একটি ভিডিও প্রকাশ করে ঘোষণা করেছে, ' আমরা দখলকৃত ২৫টি শহরে বসবাসকারী ইহুদিদেরকে এসব শহর থেকে সরিয়ে নিতে বলছি। কারণ এই ২৫টি শহর শত্রু বাহিনীকে ছড়িয়ে দেওয়ার এবং মোতায়েন করার জায়গা হয়ে উঠেছে।'

পার্সটুডের মতে,লেবাননের হিজবুল্লাহ বলেছ, এই ২৫টি শহর ইসলামি প্রতিরোধের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীর জন্য বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। উল্লেখ্য,লেবাননে আগ্রাসী ইসরাইলি বাহিনীর স্থল হামলার জবাবে হিজবুল্লাহ ৭০ জনেরও বেশি ইসরাইলি সৈন্যকে হত্যা করার পাশাপাশি ৬০০ জনেরও বেশি সেনা ও কর্মকর্তাকে আহত করেছে।

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ২৮টি মেরকাভা ট্যাংক, ৪টি বুলডোজার, একটি সাঁজোয়া যান এবং একটি কর্মীবাহীযানসহ ৩টি হার্মিস ৪৫০ ড্রোন এবং একটি হার্মিস ৯০০ ড্রোন ধ্বংস করেছে।

স্থল সংঘাতে ইহুদিবাদী বাহিনী এবং সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস করার ক্ষেত্রে হিজবুল্লাহর বিজয় ইহুদিবাদী বসতিতে থাকা অবৈধ অস্ত্রধারী ইহুদিবাদীদের দিকে তার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে সক্ষম করেছে। এ ক্ষেত্রে বলা যায় যে  হিজবুল্লাহ তার ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাসার্ধ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে এবং তেল আবিব থেকে বহু দূরের এলাকাগুলোকে তার ক্ষেপণাস্ত্রের কবলে ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছে।

ইতিপূর্বে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইহুদিবাদীদের দখলকৃত ভূমির উত্তরে যুদ্ধের পরিস্থিতি চাপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল এবং লেবাননের সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা থেকে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের বাস্তুচ্যুত করেছিল।

কিছু পরিসংখ্যান ইঙ্গিত করেছে যে হিজবুল্লাহ প্রতিরোধ বাহিনীর রকেট হামলার কারণে লেবাননের সীমান্তের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের ৭০ ভাগই এলাকাগুলো ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে। তাই কিছু ইহুদিবাদী বসতি উচ্ছেদের ওপর হিজবুল্লাহর এমন কড়া নির্দেশ আগে কখনো দেখা যায়নি। এই উচ্ছেদ আদেশের মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে ২৫টি ঘোষিত ইহুদিবাদী বসতিতে রকেট হামলা বাড়ানোর জন্য হিজবুল্লাহর ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখিত এলাকায় হিজবুল্লাহর সামরিক অভিযানের পর এসব এলাকা থেকে অভিবাসনের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

হিজবুল্লাহর মহাসচিব এবং এর উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের হত্যার পর লেবাননে হিজবুল্লাহর উঠে দাড়ানোর শক্তি এই বাহিনীর মধ্যে মনোবল তৈরি করেছে এবং স্থল ও আকাশে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় অর্জন করেছে।

ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং গোলানি ব্রিগেডের সদর দপ্তরে বিমান হামলা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হিজবুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিজয়ের উদাহরণ। হিজবুল্লাহর মহাসচিব সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলে নতুন আদেশের কথা বলেছিলেন। তবে স্থলভাগে পুরো মাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই অবৈধ সরকারের সৈন্যরা প্রতিরোধ শক্তির মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের