স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টন। শক্তিশালী হ্যারিকেনটির প্রভাবে ইতোমধ্যেই ফ্লোরিডার টাম্পা বে-তে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
টাম্পার জাতীয় আবহাওয়া সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, “যদি ঝড়টির গতিপথ একই রকম থাকে। এটি গত ১০০ বছরের মধ্যে টাম্পাতে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হবে। মিল্টন এখনো ফ্লোরিডা উপকূলের জন্য বিপর্যয়কর ঝুঁকি হিসেবে অবস্থান করছে।”
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হ্যারিকেন মিল্টন এই শতাব্দীর অর্থাৎ গেলো ১০০ বছরের মধ্যে মার্কিন উপকূলে আছড়ে পড়া সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড়গুলোর একটি হতে পারে।
এরইমধ্যে মিল্টনকে ক্যাটাগরি-৫ হ্যারিকেন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ মাইল। এমন পরিস্থিতিতে জার্মানি ও অ্যাঙ্গোলা সফর বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হ্যারিকেন মিল্টনের প্রভাবে ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। হ্যারিকেনের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
টাম্পা বে-র মেয়র জেন ক্যাস্টর বলেছেন, “হ্যারিকেন মিল্টন সেখানে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে। যদি নির্দেশনা অনুযায়ী সরে না যান তাহলে আপনারা নিশ্চিতভাবে মারা যাবেন। মানুষকে সরে যেতে হবে। সত্যি বলতে আমি আমার জীবনে এমন কিছু (হ্যারিকেন) আগে কখনো দেখিনি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের সব মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এমন অবস্থায় হাজার হাজার মানুষ সেখান থেকে সরে যাচ্ছেন। এতে রাস্তায় দেখা দিয়েছে যানজট। সূত্র: বিবিসি
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম