চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টন। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিকে উন্নত করার মৌলিক আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের জন্য এ দুই বিজ্ঞানীকে সম্মানিত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করে।
এই দুই বিজ্ঞানী পুরস্কার হিসেবে পাবেন নোবেল মেডেল, সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা)। যদি একাধিক নোবেলজয়ী থাকেন, তবে পুরস্কারের অর্থ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়।
কেন তারা পুরস্কৃত হলেন
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, জন হপফিল্ড এবং জিওফ্রি হিন্টন এমন কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা আজকের মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ভিত্তি গড়ে তুলেছে।
জন হপফিল্ড এমন একটি ‘অ্যাসোসিয়েটিভ মেমোরি’ পদ্ধতি তৈরি করেছেন যা ডেটায় সংরক্ষিত ছবি বা প্যাটার্ন পুনর্গঠনে সক্ষম। এই পদ্ধতি মেশিনকে ছবি চিনতে এবং প্যাটার্ন শনাক্ত করতে সহায়তা করে।
অন্যদিকে, জিওফ্রি হিন্টন এমন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যা ডেটা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করতে পারে, যা মেশিনকে জটিল কাজ যেমন নির্দিষ্ট ছবি বা উপাদান সনাক্ত করতে সহায়তা করে।
বিজ্ঞানীদের পরিচিতি
জন জে. হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫৮ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
জিওফ্রি ই. হিন্টন ১৯৪৭ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ থেকে পিএইচডি অর্জন করেন এবং বর্তমানে টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
এই দুই বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির উন্নয়নে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তাদের কাজ মেশিন লার্নিংয়ের জটিলতাগুলো সহজ করেছে এবং নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম