কিম জং উন (Kim Jong Un)! সকলেই এই নামটার সাথে পরিচিত। তবে ভালো কাজের থেকে তাঁর জনপ্রিয়তা খারাপ কাজের জন্য বেশি। বিশেষ করে তাঁর একনায়কতন্ত্র শাসনের কথা গোটা বিশ্ব জানে। তাঁর দেশে আবার বিশেষ কিছু উদ্ভট নিয়মও রয়েছে। নাগরিকদের চুলের কাটিংয়ের স্টাইল থেকে শুরু করে খাবার-দাবারের মেনু সব ঠিক করে দেয় সরকার। সেখানে মেয়েরা লাল লিপস্টিক ব্যবহার করলে দেওয়া হয় শাস্তি। এমনকি সেখানে বিদেশি গান শুনলে কিংবা সিনেমা দেখলে হয়ে যায় জেল। এই সব উদ্ভট নিয়ম তো রয়েছে।
কিম জং উনের (Kim Jong Un) পোশাকে রয়েছে রহস্য:
কিন্তু, একটি বিষয় খেয়াল করেছেন বিশেষ ধরনের স্যুট পরিধানকারী কিম জং উনের (Kim Jong Un) ভিন্ন স্টাইলের প্যান্টটিকে। সাধারণ প্যান্টের তুলনায় একটু বেশি চওড়া। কিন্তু প্রশ্ন তিনি কেন।এত চওড়া প্যান্ট পরেন? এর পেছনেও রয়েছে বিশেষ কারণ। আজ সেই কারণের কথাই আপনাদের জানাবো।
কেন কিম জং উন এত চওড়া প্যান্ট পরেন: সবার আগে জানিয়ে রাখি, কিম জং উন (Kim Jong Un) যে বিশেষ ধরণের প্যান্ট পরেন তার নাম মাও স্যুট। প্রায় সময়ই তাঁকে এই পোশাকে দেখা যায়। জানা যায় এই স্যুট বহু বছর আগে তৈরি হয়। তখন সকলে পরিধান করলেও বর্তমানে এই পোশাক হয়ে উঠেছে নেতা, ক্ষমতাশালীদের অন্যতম বস্ত্র। বিশেষ করে কিম জং উনের। আসলে তিনি নিজের দেশে ওয়েস্টার্ন কালচার অর্থাৎ পশ্চিমী সংস্কৃতির প্রভাব কোনোমতেই প্রবেশ করতে দিতে চান না। তাই এমন পোশাক পরেন তিনি।
বর্তমানে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে পোশাকের ট্রেন্ডে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে জিন্স। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন (Kim Jong Un) এই ট্রেন্ড পছন্দ করেন না। কারণ জিন্স হচ্ছে আমেরিকার ফ্যাশন। নিজের দেশে এমন ট্রেন্ড কিংবা অন্য দেশের ফ্যাশন প্রতিফলিত না হতে দেওয়ার জন্যই তিনি এত চওড়া প্যান্ট পরে থাকেন। এমনকি, ঠিক এই কারণেই উত্তর কোরিয়ায় জিন্স, টি-শার্ট, স্কার্ট পড়া নিষিদ্ধ।
শুধু তাই নয়, এই দেশে টাইট প্যান্ট পরাও অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। আসলে কিম জং উনের (Kim Jong Un) মতে, এমন টাইপ প্যান্ট পরা অশ্লীলতার লক্ষণ। আর তাঁর নীতি বিরোধিতা করে যদি কেউ এমন কাজ করে সেক্ষেত্রে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে শুধু এই বিষয় নয় উত্তর কোরিয়ায় ফ্যাশন নিয়ে আরও অনেক রকমের নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে। যেগুলি ভুলেও অমান্য করেন না নাগরিকরা।