যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলফ মাঠের কাছে গোলাগুলির পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
স্থানীয় সময় রোববার বেলা দেড়টার দিকে গুলির ঘটনাটি ঘটে। এরপর সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। তবে কেউ হতাহত হননি। খবর বিবিসি, আল জাজিরা, রয়টার্সের
বিবৃতিতে এফবিআই বলেছে, ‘ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় গুলির ঘটনায় সাড়া দিয়েছে এফবিআই। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় মনে হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’
গুলির ঘটনার সময় ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকায় নিজের মালিকানাধীন ওই গলফ মাঠে খেলছিলেন ট্রাম্প। পরে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গলফ মাঠের কাছে ঝোপঝাড়ের মধ্যে ছিলেন ওই বন্দুকধারী। ট্রাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ঝোপের ভেতরে তার বন্দুকের নল দেখতে পান। এরপর তারা অন্তত চারটি গুলি চালান। তখন ওই ব্যক্তি বন্দুক ফেলে গাড়িতে করে পালিয়ে যান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শী একজন ব্যক্তি ওই বন্দুকধারীর গাড়ি ও লাইসেন্স প্লেটের ছবি তুলে রাখেন। এরপর অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার কাছে ওই গাড়ির তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে তথ্যের ভিত্তিতে পাশের মার্টিন এলাকায় গাড়িটি থামানো হয় এবং বন্দুকধারীকে আটক করা হয়।
তবে ওই বন্দুকধারী ট্রাম্পের দিকে কোনো গুলি চালানো সুযোগ পেয়েছিলেন কি না, তা সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করা হয়নি। সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তা রাফায়েল ব্যারোস শুধু এটুকু বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাদের বাহিনীর সদস্যদের দিকে গুলি চালাতে পেরেছিলেন কি না, তা আপাতত নিশ্চিত নই।’
সিক্রেট সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা বেরি ডোনাডিও সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্পের গলফের মাঠে গুলির ঘটনায় একে–৪৭ রাইফেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বন্দুকের গুলি বেশ শক্তিশালী। বন্দুকটি দিয়ে ৮০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানা যায়।
গুলির ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) নিরাপদে আছেন জেনে আমি খুশি। আমেরিকায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম