ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি আগ্নেয়গিরি থেকে নেমে আসা শীতল লাভার স্রোতে অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১৭ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।
পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনো ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।
এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যার মধ্যে উদ্ধার কর্মীরা আগাম জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম চাংডুয়াংয়ে ১৯টি লাশ পান। তারা প্রতিবেশী জেলা তানা দেতার থেকে আরও ৯টি লাশ উদ্ধার করেন। শনিবার কয়েক ঘণ্টার ভারি বৃষ্টির পর সুমাত্রার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি মারাপি থেকে পানির তীব্র স্রোতের সঙ্গে আগ্নেয়গিরির ছাই ও পাথর নেমে আসে। এই কাদার স্রোতে দুটি জেলা তলিয়ে যায় এবং শতাধিক ঘরবাড়ি, মসজিদ ও সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে ও লোকজনের মৃত্যুর কারণ হয়।
এমএমএইচ/রেডিওটুডে