
গরমের সময় মিষ্টি বা টক দই খাওয়া হয় আমাদের। কিন্তু প্রতিদিন টক দই খেলে শরীরের উপকার কেমন কিংবা এর ক্ষতিকর দিকগুলো কী, তা কী জানেন? এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এবার তাহলে গরমে প্রতিদিন টক দই খাওয়ার ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
টক দই খাওয়ার উপকারিতা:
শরীর ঠান্ডা রাখে: গরমে প্রচুর ঘাম হয়। এ থেকে ডিহাইড্রেশন ও শরীর গরম হওয়ার সমস্যা প্রায় সবারই রয়েছে। এ সময় টক দই খাওয়া হলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমে। ফলে আরাম অনুভব হয়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি: দইয়ে বিদ্যমান প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। যা আমাদের হজমের সমস্যা, গ্যাস ও বদহজম রোধে সহায়তা করে।
ইমিউনিটি বৃদ্ধি: টক দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি কম হতে পারে।
ত্বক ও চুলের জন্য ভালো: টক দইয়ে ভিটামিন ও মিনারেলস উপাদান রয়েছে। যা আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং চুল মসৃণ ও শক্তিশালী করে।
টক দই খেলে যেসব ক্ষতি হতে পারে:
বেশি খেলে যেসব ক্ষতির সম্ভাবনা: টক দই অতিরিক্ত খাওয়া হলে গ্যাস-অ্যাসিডিটি, অম্বল ও বুকজ্বালার সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে রাতে বা খালি পেটে খেলে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা: অল্পতে বা সহজেই যদি ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থাকে আপনার, তাহলে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা টক দই না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে কোমলমতি শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
রাতে নয়: অনেকেই রাতে দই খেয়ে থাকেন। তবে টক দই রাতের বেলায় খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং ঘুমে ব্যাঘাত হতে পারে। এ জন্য সকালে বা দুপুরে খাওয়া উচিত।
কারা খাবেন না: গ্যাস-অসিডিটি, ঠান্ডা বা টনসিল ও পেটের অসুস্থতা থাকলে টক দই এড়িয়ে চলা উচিত।
খাওয়ার উপায়: টক দই যদি ঘরে তৈরি হয় তাহলে তাজা অবস্থাতেই খেতে পারেন। তবে দুপুরে ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে খেলে বেশ উপকার মিলে। দই খাওয়ার আগে অবশ্যই তা ফ্রিজ থেকে বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
গ্রীষ্মে দই শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করলেও প্রতিদিন টক দই অতিরিক্ত পরিমাণ খাওয়া হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ জন্য সঠিক পরিমাণে, সঠিক সময় ও সঠিকভাবে দই খাওয়া উচিত।