রোববার,

১৯ জানুয়ারি ২০২৫,

৫ মাঘ ১৪৩১

রোববার,

১৯ জানুয়ারি ২০২৫,

৫ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

এইচএমপিভি থেকে বাঁচার উপায়

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:২২, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
এইচএমপিভি থেকে বাঁচার উপায়

বিশ্বে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এইচএমপিভি ভাইরাস। নতুন এ ভাইরাস করোনার মতো ভয়াবহ না হলেও লক্ষণ করোনার মতোই। চিকিৎসকদের মতে এ ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, শিশু ও বয়স্করা। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু নিয়মে মেনে চললেই এইচএমপিভি রোগের হাত থেকে থাকা সম্ভব।

এইচএমপিভি একটি শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস যা সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর, এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। এটি বিশেষত শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এটি মূলত বস্তু, স্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির সংস্পর্শে আসলে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে।

এই ভাইরাস থেকে নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন: 

১. হাত পরিষ্কার রাখা
বাইরে থেকে আসার পর বা কোনো কিছু র্স্পশ করার পর ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। সাবান দিয়ে হাত ভালোমতো পরিষ্কার করতে হবে। এ ছাড়া অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে খাওয়ার আগে ও মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শ করার আগে এবং জনসমাগমস্থল থেকে ফিরে হাত ধুতে হবে। যদি সাবান ও পানি না থাকে, তাহলে অ্যালকোহলযুক্ত (কমপক্ষে ৬০%) স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

২. মাস্ক পরা
বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক এমন ভাবে পরতে হবে যাতে নাক মুখ ভালো করে ঢাকা থাকে। হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু বা কনুই দিয়ে মুখ ঢাকুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিন।

৩. বস্তু বা জিনিস কম স্পর্শ করা

দরজার হাতল, আলোর সুইচ, স্মার্টফোন এবং কিবোর্ডের মতো বারবার স্পর্শ করা জিনিসগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন। জনবহুল স্থানে সিঁড়ি বা অন্যান্য বস্তু স্পর্শ না করাই ভালো। এছাড়া একাধিক ব্যক্তির স্পর্শ করা জিনিসও ব্যবহার না করাই ভালো। 

৪. আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
অসুস্থ ব্যক্তি বা আক্রান্ত ব্যাক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে যাদের এ সময় সর্দিকাশি জনিত সমস্যা আছে তাদের জিনিস ব্যবহার না করা ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় এই সময়ে জনসমাগম এড়িয়ে চলা। 

৫. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন
জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব হলে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসাসেবা নিন। অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকুন এবং যদি আপনি নিজে অসুস্থ হন, তাহলে বাড়িতে বিশ্রাম নিন। পুষ্টিকর খাবার খান ও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৬. স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন
সবসময় সুস্থ জীবনধারা অনুসরণ করা উচিত। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এগুলো  রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীরে সর্দি কাশির মতো নানা সমস্যা দেখা দেয় এবং ক্লান্তি অনুভব হয়।

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যদি আপনার বা পরিবারের কারও শ্বাসকষ্ট, উচ্চ জ্বর বা অন্যান্য গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়, অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তাহলে এই সচেতনতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের