
নতুন ছবির মুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বসিত কৌশানী মুখার্জি। তার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কাজ করার। অবশেষে সেটা হলো ‘কিলবিল সোসাইটি’-তে।
কৌশানী বলেন, এসভিএফ’র সঙ্গে প্রায় আট বছর পর কাজ করলাম। সলিড কামব্যাক। ছবিটার নারীকেন্দ্রিক কাহিনী। এ ছবিতে কাজের প্রস্তাব প্রসঙ্গে কৌশানী বলেন, ঝড় যেভাবে আসে, সেইভাবে কিছু না বলে সৃজিত নামের ঝড় আসে আমার জীবনে।
একদিন দুপুরে ফোন আসে সৃজিত দার। জিজ্ঞেস করেন, এই তোর অনস্ক্রিন চুমু খেতে সমস্যা আছে। আমার প্রশ্ন ছিল, তুমি কী বলতে ফোন করেছো। দুইদিন আগে জেনেছিলাম এটার কাস্টিং চলছে। তখন রিলেট করতে পারি। আমি বললাম, সমস্যা তো থাকবেই। এটা এ রকম দৃশ্য নয় যে, সব ছবিতে করে থাকি।
এদিকে, তখন সৃজিত কৌশানীর সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে বসতে চান। পুরো স্ক্রিপ্ট শোনার পর অভিনেত্রী হিসেবে লোভেই না করতে পারেননি। অন্যদিকে, শুটের দিন হাত-পা ঠাণ্ডা ছিল কৌশানীর। তিনি বলেন, সেদিন আমার শুধু ওই চুমুর দৃশ্যটাই ছিল। আগের দিন রাতভর টেনশনে ছিলাম। ঘুমহীন রাত পার করি।
এই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের জন্য মুম্বই থেকে একজন ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর আনা হয়েছিল। তার নাম আস্থা। তিনি, আমি, পরম দা আর সৃজিত দার সঙ্গে আলাদা করে সেশন করেছিলেন। খুব টেকনিক্যালি বিষয়টা করা হয়। এই প্রথমবার বাংলা ছবিতে কোনো ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটরের সাহায্য নেয়া হলো।
তবে, একটা ছবিতে চুমু খেয়েছি বলে সব ছবিতে রাজি হয়ে যাবো- তেমনটা নয়। তার জন্য স্ক্রিপ্টে দম থাকতে হবে। এ ছাড়া, তিনি এটাও জানান যে, বনির সঙ্গে তিনি আলোচনা করে নিয়েছিলেন এই চুম্বন দৃশ্যের আগে। সব স্বাস্থ্যকর সম্পর্কেই এটা দরকার। আমার পার্টনারের মতামত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিজেরই হয়, কাজের ক্ষেত্রে। ওর যা বলার ও বলেছিল। আগে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, এ রকম কোনো দৃশ্য আমরা করবো না। আমরা দু’জনে সম্পর্কে থাকার পর এটাই প্রথম ‘আইজ-ব্রেক’ মোমেন্ট।