সোমবার,

০৬ জানুয়ারি ২০২৫,

২৩ পৌষ ১৪৩১

সোমবার,

০৬ জানুয়ারি ২০২৫,

২৩ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা অঞ্জনা মারা গেছেন

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা অঞ্জনা মারা গেছেন

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যপটিয়সী অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত্যুকালে অঞ্জনার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে গেছেন।

শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর অঞ্জনার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ।

জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এ অভিনেত্রী। শুরুতে জ্বর ছিল। ওষুধ খেয়েও জ্বর ভালো না হওয়ায় পরীক্ষা করে তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে তাঁর শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘গাঙচিল’ (১৯৮১) ও ‘পরিণীতা’ (১৯৮৬) -এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।

এছাড়া তিনি মোহনা (১৯৮৩), পরিণীতা (১৯৮৬) এবং রাম রহিম জন (১৯৮৯) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকা সহ বহু দেশে ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হন।

ছোটবেলা থেকে নৃত্যের প্রতি তার আগ্রহের কারণে তার বাবা মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে তিনি ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন। নৃত্য তিনবার জাতীয় পুরস্কারও লাভ করেন তিনি।

অঞ্জনা ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকার ঢাকা ব্যাংক কোয়ার্টারে এক সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তারা দুই বোন এক ভাই। তার দুই সন্তান কন্যা ফারজানা, নিশি ও ছেলে মনি নিশাত।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের