
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার পরও যখন বিষয়টি সুরাহা হচ্ছিলো না, তখন দু’জনক পদত্যাগের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। এরপর তারা পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন।
নিয়ম অনুযায়ী তাদের পদত্যাগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন করলে পদত্যাগ কার্যকর হবে।
এর আগে বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিনগত রাতে মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে এক জনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
মূলত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষ ও বহু শিক্ষার্থী হতাহতের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, সেই সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৩ এপ্রিল থেকে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরদিন ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম