জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের সব বিষয়ের পরীক্ষায় ৩০ মিনিট করে সময় বাড়ানো হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের যে বিষয়ের পরীক্ষা তিন ঘণ্টা হওয়ার কথা ছিল সেটি এখন সাড়ে তিন ঘণ্টা হবে; আর যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা সাড়ে তিন ঘণ্টা হওয়ার কথা ছিল, সেটি এখন চার ঘণ্টা হবে। প্রশ্নপত্রে যে সময়ই থাকুক, ৩০ মিনিট করে সময় বাড়বে।
তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. এনামুল করিম বলেন, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে এটি করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে ‘সেশনজটের কারণে তিন বছরের ডিগ্রি ছয় বছরে রূপান্তর করা এবং অটোপাসের দাবিতে’ অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে অটোপাস দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ।
শিক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনের কারণেই সময় বাড়ানোর কথা বলছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এনামুল করিম।
তার ভাষ্য, শিক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাদের অটোপাস দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। তাই তাদের সুবিধার্থে সময় বাড়ানো হল।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছিল তখন উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছিল। তারা উনার কাছে দাবি-দাওয়া পেশ করেছিলেন। সেগুলো যাচাইবাছাই করে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
অন্যান্য শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্সের পরীক্ষাতেও সময় বাড়বে কিনা, এ প্রশ্নে এনামুল করিম বলেন, এটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত ২০২২ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার জন্য এটি বহাল থাকবে। অন্যান্য পরীক্ষাগুলো সময় বাড়ানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব আমরা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ আশা করে ২০২৫ সালে আমেরিকার নতুন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর কূটনৈতিক উপায়ে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ "দ্রুতই" শেষ হবে।
জেলেনস্কি এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, কিয়েভকে সামরিক শক্তির পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী বছর যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে। তিনি বলেন, "আমাদের যা করতে হবে তা হলো এই যুদ্ধ আগামী বছর শেষ হবে।"
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি আরো বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ শেষ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।"
তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর ফোনালাপের সময় তিনি ট্রাম্পের সাথে "গঠনমূলক আলোচনা" করেছেন।