
যুক্তরাষ্ট্রের স্পট মার্কেটে বর্তমানে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রায় ৩ হাজার ৩২৮.৩০ ডলার বা প্রায় ৪ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টাকা। সে হিসাবে বিশ্ববাজারের দরের চেয়েও ৪৪ হাজার ৮২৪ টাকা বেশিতে বাংলাদেশে সোনা বিক্রি হচ্ছে। দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের সর্বশেষ বৃদ্ধি বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির প্রবণতার চেয়েও অনেক বেশি।
রোববার (২০ এপ্রিল) দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ (১১.৬৬৪ গ্রাম) বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকায়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এদিকে গোল্ডম্যান স্যাকসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৫ গ্রাম) ৩ হাজার ৭০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ২২ ক্যারেটের প্রতি গ্রাম স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে ১৪ হাজার ৩৮৯ টাকা। সে হিসাবে দেশের বাজারে এক আউন্স স্বর্ণের বর্তমান দাম ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৮ টাকা।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের স্পট মার্কেটে বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ৩ হাজার ৩২৮.৩০ ডলার বা প্রায় ৪ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টাকা। সে হিসাবে বিশ্ববাজারের দরের চেয়েও ৪৪ হাজার ৮২৪ টাকা বেশিতে বাংলাদেশে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে।
গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) স্বর্ণের দাম ভরিতে ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। এর তিন দিনের মাথায় প্রতি ভরিতে স্বর্ণের দাম আরও ২ হাজার ৬২৪ টাকা বাড়ানো হয়। নতুন এই দাম আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬২৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩৩ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৫০৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার ২০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ১৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৮৩২ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।