বৃহস্পতিবার,

০৯ জানুয়ারি ২০২৫,

২৬ পৌষ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

০৯ জানুয়ারি ২০২৫,

২৬ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

সারাদেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে,ফলে অর্থপ্রবাহ বাড়ছে: উপদেষ্টা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৯ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
সারাদেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে,ফলে অর্থপ্রবাহ বাড়ছে: উপদেষ্টা

প্রবাসী আয় থেকে গ্রামে অর্থ সঞ্চালন হচ্ছে। এতে আর্থিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। এটি অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সহায়ক হবে। অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার অন্য কারণের মধ্যে রয়েছে রাজনীতি। সারাদেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। ফলে অর্থপ্রবাহ বাড়ছে। গতি এসেছে রপ্তানি আয়েও। এতে আগামীতে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে আশা করা যায়। 

অর্থনীতি নিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। গতকাল বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ আশার কথা শোনান তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে সরকার জোগান দেবে ৩ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ ২০৬ কোটি টাকা। বাকি ৪০৯ কোটি টাকা জোগান দেবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সচিবরা বৈঠকে ছিলেন। 

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতির বড় ক্ষতি হলো জনমিতির সুবিধার পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে না পারা। কর্মক্ষম যুবশক্তির আধিক্যের এ সুবিধা হয়তো আর ১০ থেকে ১৫ বছর পাওয়া যাবে। দীর্ঘদিন যুব সমাজের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ নষ্ট হয়েছে। তবে ভরসার জায়গা হচ্ছে– গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় উত্তরণ হলে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সেটাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। সংস্কার কিংবা নির্বাচন, যা কিছুই বলা হোক না কেন, মূল কথা হচ্ছে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

জিডিপি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, গত প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে। তবে সংকোচন হয়নি। জুলাই মাসে রাজনৈতিক কারণে শিল্প উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল না। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কিছুটা কমলেও মূল্যস্ফীতি এখনও বেশিই। মূল্যস্ফীতির চাপ নিম্ন আয়ের মানুষের গায়ে বেশি লাগে। কারণ তাদের আয়ের বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় হয় খাদ্যপণ্য কেনার পেছনে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে তাদের মজুরি বেড়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। প্রকৃত মজুরি কম হওয়ায় পরিস্থিতি তাদের জন্য কষ্টকর। 

তিনি জানান, মজুরি, মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির হিসাব করার দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কোনো তথ্য তিনি পর্যালোচনা করেন না; যা আসে অনুমোদন দিয়ে দেন। বিবিএস আইন সংশোধনের করতে যাচ্ছে সরকার। এতে মূল্যস্ফীতি, জিডিপি কিংবা কর্মসংস্থান সব তথ্য প্রকাশ করবে বিবিএস।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের