শনিবার,

০৪ জানুয়ারি ২০২৫,

২১ পৌষ ১৪৩১

শনিবার,

০৪ জানুয়ারি ২০২৫,

২১ পৌষ ১৪৩১

Radio Today News

রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

Google News
রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের ৫০ কোটি ডলার যোগ হওয়ার পর রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। গত রোববার যা ছিল ২০ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) সেপ্টেম্বর–অক্টোবর সময়ের দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর গত ১১ নভেম্বর রিজার্ভ নেমেছিল ১৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়নে। এ নিয়ে এক  ১৮দিনে রিজার্ভে নতুন করে যোগ হলো ২ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। শিগগিরই বিশ্বব্যাংকের আরও ১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে যোগ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এর থেকে কমতে–কমতে গত জুলাইতে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এর প্রতি মাসে গড়ে ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে না কমে বরং বাড়ছে। মূলত ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর চেষ্টা, রিজার্ভ থেকে ঢালাওভাবে ডলার বিক্রি বন্ধসহ বিভিন্ন কারণে হুন্ডি চাহিদা কমে ব্যাংকিং চ্যানেলে এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আবার জুলাই–নভেম্বর সময়ে রপ্তানি আয় এসেছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ডলার। আগের বছরের এই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৮১ কোটি ডলার। এর মানে ৫ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এসব কারণে এভাবে রিজার্ভ বাড়ছে।

বর্তমানের এ  রিজার্ভ আইএমএফ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অনেক ওপরে। আইএমএফ চলতি ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল। নিট রিজার্ভ এরই মধ্যে ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের পর্ষদ বাংলাদেশের অনুকূলে এক বিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে। এই ঋণের অর্থ পেলে রিজার্ভ আরও বাড়বে। বাংলাদেশের জন্য যা স্বস্তির খবর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাসে আগের অনেক দেনা পরিশোধ করা হচ্ছে। যে কারণে ডলারের দর সামান্য বেড়েছে। তবে রিজার্ভের স্থিতিশীলতার কারণে দ্রুত দর কমে যাবে। তিনি বলেন, আইএমএফ ধরেই নিয়েছিল ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। যে কারণে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা এরই মধ্যে কমিয়েছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর শেষে যেখানে নিট রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তা কমিয়ে ১৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন করা হয়েছে। অথচ তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার অনেক ওপরে উঠেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত দেশে ২৪২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাই থেকে ডিসেম্বরের এ পর্যন্ত এসেছে এক হাজার ৩৫৬ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮০ কোটি ডলার। এ হিসেবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৭৬ কোটি ডলার বা ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মূলত অর্থপাচার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যে কারণে এভাবে রেমিট্যান্স বাড়ছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের