‘ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। ব্যবসার ক্ষেত্রটি বেশ জটিল। এই জটিল জিনিস ভাঙা বেশ কঠিন।’ লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর ৯ দিন পরও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক নয় কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এ মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কি এতটাই শক্তিশালী- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। সিন্ডিকেট না বলে ব্যবসায়ী যারা আছে তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। খুব বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি বা যারা সরাসরি আমদানি করে, সাপ্লাই দেয়, আবার যারা এজেন্ট শুধু সাপ্লাইও দেয় না শুধু ডিও লেটার দেয়। এটা একটা জটিল জিনিস, যা ভাঙা কঠিন।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে চাল, ডাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সয়াবিন হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে। রোজা পর্যন্ত যত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আছে চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি এগুলোর সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাজারটা যাতে আরও একটু সহনীয় হয়। তবে সময় লাগবে। কারণ এগুলো বেশিরভাগ আমদানি করতে হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে সয়াবিন আমদানি করতে বলেছি। আমরা চাচ্ছি, যত সম্ভব আমাদের দিক থেকে সাপ্লাইটা আসুক। ব্যাবসায়ীদের কাছে যাতে একটা মেসেজ যায় দেশে সরবরাহ….। এখন এটা যাচ্ছে কিনা সেটা আলাদা ব্যাপার।’
৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। এরপর আরও ৯ দিন চলে গেলেও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাজারের ব্যাপারটার সঙ্গে আমাদের একটু গ্যাপ আছে। নির্ধারিত দামেই বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে অনেক রকম ব্যাপার আছে। যেমন- যেদিন ৮ টাকা দাম বাড়ানো হয়, তার পরের দিন বাজারে অনেক সরবরাহ ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা হচ্ছে- দাম বাড়ানো হয়েছে, আবার হয়তো বাড়বে।’