আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তুত করা শ্বেতপত্র প্রধান উপদেষ্টার হাতে হস্তান্তর করা হবে। শ্বেতপত্রটি প্রণয়ন করেছে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি কমিটি। এতে মূলত অনিয়ম-দুর্নীতির পথ বন্ধের করণীয় এবং অর্থনীতির বর্তমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় তুলে ধরা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, শ্বেতপত্রে চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান করা না গেলে এটি কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না।
অর্থনীতিবিদরা দেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটকে তিনটি বড় সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে দেখছেন। তা হলো- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাণিজ্যিক কার্যক্রমে মন্দাভাব।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য এম. আবু ইউসুফ জানিয়েছেন, এতে অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা, এর সমস্যাগুলো এবং সমাধানের সম্ভাব্য উপায়গুলো বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।
তবে শ্বেতপত্রটি দুর্নীতির ধরন বা ঘটনা শনাক্ত করার জন্য নয়; বরং দুর্নীতির মাত্রা ও এর প্রভাব মূল্যায়নের জন্য। কমিটি বিভিন্ন চুক্তি, বিশেষত হাসিনা সরকারের আমলে জ্বালানি খাতে হওয়া চুক্তিগুলোর সম্ভাব্য অনিয়ম এবং অর্থপাচারের চিত্র খতিয়ে দেখেছে।
সরকারি ২৪টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মতে, বিগত সরকারের উন্নয়ন দর্শন ভুল তথ্যের ভিত্তিতে সাজানো হয়েছিল। শ্বেতপত্রে জ্বালানি ও আর্থিক খাতের লুটপাটের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের অর্থনীতিতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আগে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হলেও সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শ্বেতপত্রে উল্লিখিত সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে বর্তমান সরকারের সাফল্য প্রমাণিত হবে।
গত ২৮ আগস্ট অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা বিশ্লেষণ এবং প্রাসঙ্গিক সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বিভিন্ন বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগের সরকারের আমলে আমলাতন্ত্র ও অর্থনীতি রাজনীতির কাছে জিম্মি ছিল।
অর্থনীতিবিদরা আশাবাদী, শ্বেতপত্রে চিহ্নিত সমস্যাগুলোর সমাধানই দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম