প্রতীকী ছবি
নিখোঁজের ৩দিন পর পাওয়া গেলো মেঘনায় বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় লস্কর মোতালেবের লাশ। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লাশটি বাল্কহেডের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়। নিহত লস্কর মোহাম্মদ মোতালেব ভোলার ঢুলারহাটের নুরাবাদ গ্রামের রফিজুল হক মিজির পুত্র।
এর আগে গেল বুধবার বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে মন্সিগঞ্জের গজারিয়ার সীমানা সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭ এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে বাল্কহেড দারুল মাকাম- ৩ ডুবে লস্কর মোতালেব (৫৫) নিখোঁজ হয়। এ সময় ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে থাকা ৬ জনের মধ্য ৫ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও মোতালেব বাল্কহেডের ভিতরেরই থেকে যায়।
সোনারগাঁও উপজেলার কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য জহিরুল হক এসব তথ্য দিয়ে জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিখোঁজ মোতালেবের সন্ধানে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলছিল উদ্ধার অভিযান। কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা শুক্রবার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ মোতালেবের কোন সন্ধান পাননি। পরে শনিবার বাল্কহেডটি পানির নীচ থেকে টেনে তোলা হলে এর ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে শ্রমিক মোতালেবের লাশ।
কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জহিরুল হক অঅরও বলেন বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিলো যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭। পথে গত বুধবার রাত পৌঁনে ১১টার দিকে লঞ্চটি মেঘনায় চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ব বাল্কহেডের ৬ শ্রমিকসহ ডুবে যায় । এদের মধ্যে সুকানি সবুজ (৩২), গ্রিজার মো. আক্তার (১৮), বাবুর্চি আব্দুল খালেক (৬৫) ও লস্কর ইমরান (২০) তীরে উঠতে সক্ষম হন। আর লস্কর মো. হৃদয় (১৮) লঞ্চে উঠে পালিয়ে যায়।
এদিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে একটি মামলা করলে উদ্ধার হওয়া সুকানি সবুজ (৩২), গ্রিজার মো. আক্তার (১৮), বাবুর্চি আব্দুল খালেক (৬৫) ও লস্কর ইমরান (২০) গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে