মঙ্গলবার,

২২ এপ্রিল ২০২৫,

৯ বৈশাখ ১৪৩২

মঙ্গলবার,

২২ এপ্রিল ২০২৫,

৯ বৈশাখ ১৪৩২

Radio Today News

কুমিল্লা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বিষয়টি নিশ্চিত করেন

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ৬ আইনজীবী কারাগারে, ডিম নিক্ষেপ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:১২, ২১ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৮:১৪, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Google News
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ৬ আইনজীবী কারাগারে, ডিম নিক্ষেপ

জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লা মহানগরীর পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনসহ ছয় আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানের বেঞ্চে শুনানি শেষে ওই মামলার অন্যতম ছয় আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান লিটন ছাড়াও ৩ আগস্টের এই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সাবেক এপিপি এএমএম মহিন, অ্যাডভোকেট জহুর হাসান চৌধুরী সোহাগ, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।

কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।

তিনি বলেন, এ মামলার সর্বমোট আসামি ২৬১ জন। গত ১১ আগস্ট কুমিল্লা মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ইনজামামুল হক রানা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ২৪ জন আসামি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলার অন্যতম দুই আসামি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হাসান চৌধুরী সোহাগ এবং অ্যাডভোকেট মইন পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।

রায়ের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ৩ আগস্ট কুমিল্লায় যে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে, আদালতের মাধ্যমে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাণ্ডবের সঙ্গে আরও অনেক আইনজীবী জড়িত রয়েছেন, তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এ মামলায় আসামিদের বিচার নিশ্চিত করতে কোনো আইনজীবী যদি অসহযোগিতা করে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এদিকে মামলার শুনানি চলাকালে আদালত প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতা এবং সাধারণ ছাত্র-জনতা আসামিদের বিচার দাবিতে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এছাড়া কারাগারে পাঠানোর সময় আসামিদের ওপর ডিম নিক্ষেপ করা হয়।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের