
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা পালন ও রমজানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছেন চাঁদপুর, পিরোজপুর, ভোলা ও শরীয়তপুরের ৮৫টি গ্রামের বাসিন্দারা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তারাবির নামাজ আদায় ও সেহরি খাওয়ার মধ্যদিয়ে শনিবার (১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা রেখেছেন তারা। সুরেশ্বর দরবার শরীফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরীফ ও সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারী তারা।
এর মধ্যে চাঁদপুরের ৩৫টি গ্রাম, শরীয়তপুরের ৩০টি, পিরোজপুরের ১০টি ও ভোলার ১০টি গ্রামের মানুষ রোজা পালন করছে আজ।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ ও মতলব উত্তর উপজেলা; পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া- এই ৬ গ্রামের প্রায় ৭ শতাধিক, জেলার কাউখালী উপজেলার বেতকা, শিয়ালকাঠী ও পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ পরিবার, জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৩৫ পরিবার, জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা ও একপাই জুজখোলা গ্রামের প্রায় ৬০ পরিবার ও শরীয়তপুরের ৩০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখছেন।
এছাড়া, ভোলা জেলার সাত উপজেলার ১০টি গ্রামে সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার ও সুরেস্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা শুরু করেছে। ভোলা সদর উপজেলা, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমুদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরায় উপজেলাতে প্রায় ৫ হাজার সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার ও সুরেস্বর দরবার শরীফের অনুসারীরা রোজা পালন করছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার অনুসারী রয়েছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামে।
এই তিন দরবারের অনুসারীরা প্রায় শত বছর ধরে এই ধারা অব্যাহত রেখেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে তারা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের আগেই ঈদও পালন করেন।
এ বিষয়ে সুরেশ্বর দরবার শরিফের গদিনশীল পীর সৈয়দ তৌহিদুল হোসাইন শাহীন নূরী সুরেশ্বরী বলেন, আমরা শুধু ঈদ না সবরকম ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পালন করি। সোমবার শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩০ গ্রামের ৩০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান রোজা রেখেছেন। আমরা আগামীতেও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করবো।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম