
অবৈধ সিগারেট বিক্রির অভিযোগে দেশের ৩ জেলায় অভিযান চালিয়েছে কাস্টমস, ভ্যাট অফিস ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট ও শরিয়তপুর ও গত সোমবার চট্টগ্রামে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে ৫৪ হাজার ৯২০ শলাকা দেশীয় উৎপাদিত ও বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় অবৈধ সিগারেট বিক্রির অপরাধে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেটের মৌলভীবাজারে অবৈধ বিদেশি সিগারেট জব্দে যৌথ অভিযান চালিয়েছে কাস্টমস ও পুলিশ। বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় মৌলভীবাজারের পশ্চিম বাজারের পুরাতন হাসপাতাল রোড ও কুদরত উল্লাহ রোডে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দেশীয় উৎপাদিত অবৈধ সিগারেট ও বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়।
যৌথ অভিযানে ৩২ হাজার শলাকা দেশীয় উৎপাদিত অবৈধ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ফিউচার কিংস, ফিউচার কিংস স্পেশাল ব্লু, মানসুন, পোলো, ভার্জিন, ওরিস সুইচ মেনথল অরেঞ্জ, ওরিস সিলভার, ওরিস পালস, ওরিস পান্ডা, ওরিস ইনটেনস মোজিটো, ওরিস ফ্যাশন, মন্ড স্ট্রবেরি, মন্ড গ্রিন অ্যাপল, এক্সএসও ব্ল্যাক ফ্রুটস অ্যাপল মিন্ট, এক্সএসও ব্ল্যাক ফ্রুটস স্ট্রবেরি, এলিগ্যান্স স্ট্রবেরি, লুভিন স্ট্রবেরি, লুভিন প্যান মাসালা, লুভিন চকোলেট, লুভিন গাম মিন্ট, লুভিন সোর অ্যাপল, ৩০৩ এসএস ব্রাউন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে আইনি ব্যবস্থা শুরু করে কাস্টমস। জব্দ হওয়া অবৈধ সিগারেটগুলো ধ্বংসের জন্য রাখা হয়েছে।
এদিকে, অবৈধ সিগারেট বিক্রির অপরাধে শরিয়তপুর সদরের আংগারিয়া ইউনিয়নের পালং বাজারের লোকনাথ স্টোরে অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানে ৬ হাজার শলাকা মন্ড অ্যাপল ও স্ট্রবেরি, ন্যানো ওরিস, এসে লাইট, লুগিন ফ্রেশ, ভ্যাপ লিং ব্র্যান্ডের অবৈধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। অবৈধ সিগারেটগুলো জনসম্মুখে ধ্বংস করা হবে।
অবৈধ বিদেশি সিগারেট বিক্রির অপরাধে চট্টগ্রামে দুইটি দোকানে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট কমিশনার ও পুলিশ। গত সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘির পশ্চিম পাড়ে পুরাতন গির্জা এলাকার ইত্যাদি স্টোর ও এস.এস ফুডস স্টোরে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে দুই দোকান থেকে অবৈধ বিদেশি ব্র্যান্ডের ১৬ হাজার ৯২০ পিস মন্ড, ওরিস, এসে এবং পেট্রন সিগারেট জব্দ করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ সিগারেটগুলো জব্দ করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর গত ৯ জানুয়ারি থেকে শুল্ক ও কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতোমধ্যেই নতুন মূল্যের ভিত্তিতে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ড রোল ব্যবহারের নির্দেশনা জারি করেছে। সিগারেটের ওপর কর বাড়ায় দেশে অবৈধ বিদেশি সিগারেট আমদানি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।