মঙ্গলবার,

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,

২২ মাঘ ১৪৩১

মঙ্গলবার,

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,

২২ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

চুল কেটে ও মুখে কালি দিয়ে নারীকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Google News
চুল কেটে ও মুখে কালি দিয়ে নারীকে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ফজিলা খাতুন (৪৫) নামে এক নারীর মাথার চুল কেটে দিয়েছে ডিভোর্সি পুত্রবধূর পরিবারের লোকজন। এসময় মুখে কালি মাখিয়ে মারধর করা হয় তাকে। এক মিনিট ৪০ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী ওই উপজেলার চাপাতলা গ্রামের তোরাব মোড়লের মেয়ে। 

বিকেলে উপজেলার বেনেয়ালি গ্রামে ডিভোর্সি পুত্রবধূকে দেখতে গিয়ে পুত্রবধূর পরিবারের লোকজনের হাতে এই নির্যাতনের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই নারী। অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
  
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঝিকরগাছার বেনেয়ালি কলাবাগানপাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে শিমুল হোসেন, পদ্মপুকুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি, বেনেয়ালি গ্রামের মফিজুর ড্রাইভারের স্ত্রী রনি বেগম ও পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের স্ত্রী রহিমা। সোমবার বিকেলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ফজিলা খাতুন জানান, তার ছেলে রায়হানের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের মেয়ে বিথীর দুই বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি তাদের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর একই উপজেলার গদখালি ইউনিয়নের বেনেয়ালি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শিমুলের সঙ্গে বিয়ে হয় বিথীর। পরে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফজিলা বেনেয়ালি গ্রামে তার সাবেক পুত্রবধূ বিথীকে দেখতে যান। এ সময় বিথীর নতুন স্বামী শিমুল হোসেন, চাচি শারমিন আক্তার রুমি, চাচি শাশুড়ি রনি বেগম, মা রহিমা বেগমসহ তার স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন মিলে তার মাথার চুল কেটে ও মুখে কালি দিয়ে দেয়। এ ছাড়াও এ সময় তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি তাকে মারধর করে। 

তিনি আরও জানান, এদিন তারা মারধর ছাড়াও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাকে শিমুলের বাড়ির পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং সন্ধ্যার পর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে থানায় পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করে।  

স্থানীয় গদখালি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাশেম বলেন, তাবিজ কবজ (যাদু টোনা) সন্দেহে ওই নারীকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে বলে শুনেছি। এভাবে একজন মানুষকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, ফজিলা খাতুন ডিভোর্সি পুত্রবধূ বিথীকে দেখতে তার নতুন স্বামীর বাড়ি গিয়েছিলেন। এসময় বিথীর স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজন তাকে আটকে রেখে মাথার চুল কেটে দেয়। পরে তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের