চারদিকে সাজ সাজ রব। বিয়ের সব প্রস্তুতি শেষে বরযাত্রার অপেক্ষায় কনে পক্ষ। তবে শেষ মুহূর্তে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে গেলেন কনে। অন্যদিকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে আসা তরুণ রবেল খানকে (ছদ্মনাম) পাঠানো হয় কারাগারে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বাল্য বিবাহের অভিযোগে রুবেল খানকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
এর আগে শনিবার রাতে পিরোজপুরের কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামে প্রস্তুতির সময় বাল্যবিয়ে পণ্ড করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বজল মোল্লার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রুবেল খানের ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে রুবেল খানের বিয়ের কথা ছিল। বিয়ের খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় রুবেলকে আটকের পর ৭ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। অন্যদিকে প্রশাসনের আসার খবর পেয়ে কনে ও অভিবাবক বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
কাউখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান বলেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রুবেলকে রোববার সকালে পিরোজপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।