যশোরের চৌগাছায় নিখোঁজের চারদিন পর রকি হোসেন (২০) নামের এক ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার করেছে যশোর পিবিআই। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে চারটার দিকে শহরের বেড়বাড়ির খাল থেকে রকির লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ১৬ জানুয়ারি ইজিবাইকসহ রকি নিখোঁজ হয়।
রকি উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের পুড়াহুদা গ্রামের কৃষক লিয়াকত হোসেনের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন, পুড়াহুদা গ্রামের কসাই শরিফুর ইসলামের ছেলে ও তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের ছাত্র সোহানুর রহমান (১৯) , পৌরসভার ইছাপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে শরিফুল ইসলাম সজল (১৬), পাচনামনা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সুজন হোসেন (১৭)। আটকরা নিহত রকির পূর্ব পরিচিত ছিল।
রকির মা সায়েরা বেগম ও বোন শারমিন জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ইজিবাইক নিয়ে বের হয় রকি। অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরেও রকি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজা শুরু করেন। তাকে না পেয়ে চৌগাছা থানায় একটি জিডি করেন রকির কৃষক বাবা লিয়াকত হোসেন।
এরপরও তাকে না পেয়ে রকির নিকট আত্মীয় সেনা সদস্য বোন জামাই আক্তারুল ইসলাম বিষয়টি যশোরের পুলিশ সুপারকে জানায়। পুলিশ সুপার বিষয়টি পিবিআইকে দেখার জন্য নির্দেশ দেন। পিবিআই সন্দেহজনকভাবে ফোন ট্র্যাকিং করে তিনজনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চৌগাছা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বেড়বাড়ি খালের পটের নিচ থেকে রকির লাশ উদ্ধার করেন।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, রকি সোহানের বাল্য বন্ধু। সে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রকিকে ফোনে ডেকে নেয়। পরে চারজন একসঙ্গে গাজা সেবন করে। এরপরে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য রকিকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে মৃতদেহ বেড়বাড়ি খালে নিয়ে পটের নিচে পুতে রাখে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) যশোরের সুপার রেশমা সারমিন বলেন, রকির লাশ উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ছিনতাই হয়ে যাওয়া ইজিবাইক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম