রোববার,

১৯ জানুয়ারি ২০২৫,

৫ মাঘ ১৪৩১

রোববার,

১৯ জানুয়ারি ২০২৫,

৫ মাঘ ১৪৩১

Radio Today News

শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, বাঁচতে দিল না ঘাতকরা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫

Google News
শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, বাঁচতে দিল না ঘাতকরা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর সাফওয়ান (৫) নামে এক শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের রাস্তার পাশের একটি জমি থেকে শিশু সাফওয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর জেরে উত্তেজিত এলাকাবাসী আটকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।  

নিহত সাফওয়ান ওই গ্রামের ইমরান শিকদারের ছেলে। সাফওয়ানের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর দুইটার দিকে স্থানীয় অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে সাফওয়ান নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে রাতে গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাফওয়ানের দাদা বারেক শিকদার।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পিছনের একটি জমির মধ্যে শিশু সাফওয়ানের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে একই বাড়ির লোকমান চৌধুরীর বসত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে হত্যার বেশকিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লোকমান চৌধুরীর ছেলে রুমান চৌধুরী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আটক ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিনা কারণে তাকে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। 

নিহত শিশুর দাদা বারেক শিকদারের সাথে জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশী লোকমান চৌধুরীর দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে জানিয়ে এলাকাবাসী বলছে, সাফওয়ান হত্যাকাণ্ডের সাথে ইউপি সদস্যের সরাসরি জড়িত থাকার আলামত রয়েছে। 

এদিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।  

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের