চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি আল-বাখেরা নামে পণ্যবাহী একটি জাহাজ থেকে ৫ জনের গলাকাটা মরদেহ ও রক্তাক্ত অবস্থায় আরও ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর তাদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ জন।
নিহত ৭ জনের পরিচয় পুলিশ এখনও জানাতে পারেনি। তবে আহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক।
আহত ওই ব্যক্তির নাম জুয়েল (২৮)। তাকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। তার শ্বাসনালী কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে কমান্ডার ফজলুল হক জানান, সোমবার দুপুরে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে এমভি আল-বাখেরা নামে পণ্যবাহী একটি জাহাজ থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরও ৩ জনকে। এরপর আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর আহতদের ২ জন মারা যান।
তিনি বলেন, জাহাজটি নোঙর করা ছিল। চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে জাহাজটি সিরাজগঞ্জের পথে যাচ্ছিল। নিহতদের শরীরে দেশি অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলা ও মাথাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অন্যদিকে নৌ-পুলিশের চাঁদপুরের অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, দুপুরে পণ্যবাহী নৌযানটির পাঁচ কক্ষ থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের দেশি অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। জাহাজের সার খোয়া যায়নি। সেকারণে ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাটি ডাকাতি নয়। শত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নৌযানটির মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ।