বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের গুরুত্বপূর্ণ শহর মংডু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বুধবার মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতির এক খবরে বলা হয়, মংডু দখল করা সর্বশেষ ঘাঁটি থেকে ‘কুখ্যাত’ সেনা কর্মকর্তা ব্রিডেগিয়ার জেনারেল থুরিন তুনসহ জান্তা বাহিনীর কয়েকশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আরাকান আর্মি।
মংডু আরাকান আর্মির দখলে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দুই পারেই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। রাখাইন রাজ্যে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা এখনো বাস করছে, যাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির বিরোধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, মংডুর পুরো এলাকার ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। খবর এএফপি ও সিএনএনের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মংডুর কাছে জান্তার সর্বশেষ ঘাঁটি গত রোববার সকালে দখল করে নেন আরাকান আর্মির সদস্যরা। এটি দখলে তাদের দুই মাস লড়াই করতে হয়েছে। ঘাঁটির কমান্ডারসহ জান্তার বেশ কিছু সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরাকান আর্মির প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দৃশ্যত জান্তার সেনারা আত্মসমর্পণের পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে সাদা পতাকা হাতে বেরিয়ে আসছেন। তবে এএফপি ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
সীমান্তে সতর্কতা ও নিরাপত্তা জোরদার
মিয়ানমারের মংডুর সঙ্গে বাংলাদেশের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যা নাফ নদী দ্বারা বিভক্ত। মংডু দখলের পর সীমান্তে গোলাগুলি বন্ধ থাকলেও টেকনাফসহ পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ড সীমান্তে কড়া পাহারা দিচ্ছে।
বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, "রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের কাউকেই নতুন করে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করা হবে না।"
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম