মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাতের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফে। গত কয়েক দিনে মংডু শহরের আশপাশে গোলাগুলি এবং বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ টেকনাফের সীমান্তবাসীদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের বাড়ির আঙিনায় মিয়ানমারের দিকে থেকে আসা একটি গুলি পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের মংডু শহরে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মর্টারশেল, শক্তিশালী বোমা ও গ্রেনেডের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ সীমান্ত এলাকার জনজীবনকে আতঙ্কিত করে তুলছে।
হ্নীলা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘শনিবার সকালে একটি গুলি আমাদের এলাকায় এসে পড়ে। এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছে।’’
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মনির আহমেদ জানান, "প্রায়ই ভারী গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত এলাকায় অযথা ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।"
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, "সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে যাতে অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেজন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।"
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ উল্লাহ নেজামী জানান, "মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সুযোগে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।"
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, "মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।