চুয়াডাঙ্গায় আজ সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে নেমেছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগের দিন রোববার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমল।
বেশ কিছুদিন ধরে তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আজ সোমবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিন ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ নিচের যা দিকে নামছে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা নেমেছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত থাকছে কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে সারা রাত শীত অনুভব হচ্ছে। মানুষজনকে গরম কাপড় পরে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে।
পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের ভ্যানচালক মনিরুল মুন্সী বলেন, বিকেলের পর থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। শীতের পোশাক না পরলে ভ্যান চালানো যাচ্ছে না।
বড় বাজার চায়ের এক দোকানদার প্রদীপ বলেন, ‘আমি রাত ৯টার দিকে দোকানে আসার সময় গরম কাপড় পরে আসতে হয়েছে। সকালেও শীত থাকছে।’
এদিকে শীতের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। হাসপাতালের বর্হিবিভাগে রোগীর দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম