চট্টগ্রামে সনাতন জাগরণ মঞ্চের সমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে। তবে সেখানে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যাওয়ার সময় জামালখান মোড়, আন্দরকিল্লা ও বৌদ্ধমন্দির মোড়ে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।
তারা জানান, সমাবেশস্থলের সামনেও দুপুর তিনটা পর্যন্ত সমবেত লোকজনকে রাস্তার এক পাশে আটকে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে লোক সমাগম বাড়লে বাধা উপেক্ষা করে তারা সমাবেশে অংশ নেন। পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও বড় ধরনের অ্যাকশনে যায়নি।
সমাবেশ থেকে স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে সমবেত হয়েছি। কিন্তু নগরের জামালখান, আসকারদীঘির পাড়, নন্দনকানন ও আন্দরকিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়। পরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে লোকজন সমাবেশে অংশ নেয়।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খান বলেন, চেরাগীতে সমাবেশ না করার প্রশাসনিক নির্দেশনা ছিল। এ কারণে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তারা বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে অংশ নেয়।
বুধবার নগরের কোতোয়ালি থানায় সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। দুই মাস ধরে আট দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে সনাতন জাগরণ মঞ্চ। এর অংশ হিসেবে গত ২৫ অক্টোবর লালদীঘি মাঠে সমাবেশ করে। ওই সমাবেশ থেকে যাওয়ার সময় নিউমার্কেট এলাকায় জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে মামলাটি করেন নগরের মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ খান।
মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের চেরাগীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেখান থেকে আজ ৬৪ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে ইসকনের সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এবং চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্তসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা ফিরোজ খানকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। তিনি দলটির ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।