কুমিল্লা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে কামাল হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় সদর দক্ষিণ উপজেলার পাহাড়পুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁর মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। এ ঘটনার প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা বিবিরবাজার স্থলবন্দর দিয়ে তাঁর মরদেহ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ। নিহত কামাল হোসেন (৩২) ওই উপজেলার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর কামাল হোসেন পাহাড়পুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রায় ২৫ গজ ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে বিএসএফ মরদেহ ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহত কামালের ভাই হিরন মিয়া জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশপুর বিজিবি ক্যাম্প-সংলগ্ন পাহাড়পুর সীমান্তে কামাল হোসেনকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তারা মরদেহ তুলে নিয়ে যায়। কামাল মাদক বা চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তিনি গাছ থেকে পিঁপড়ার বাসা ভেঙে ডিম (মাছ শিকারের জন্য ব্যবহৃত হয়) সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। এতে যা আয় হতো, তা দিয়ে তাঁর সংসার চলত।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (১০ বিজিবি) কুমিল্লার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত কামাল হোসেনের মরদেহ ফেরত আনতে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভারতীয় বিএসএফ ও পুলিশ মঙ্গলবার রাতে ওই যুবকের মরদেহ সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের কাছে ফেরত দেয়।
কামালের মরদেহ গ্রহণ করা সদর দক্ষিণ মডেল থানার এসআই দীলিপ কুমার মজুমদার জানান, তিনি কুমিল্লা বিবিরবাজার স্থলবন্দরে নিহত কামাল হোসেনের মরদেহ গ্রহণ করে তাঁর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ সময় মেজর আরাফাতের নেতৃত্বে বিজিবির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম