সংগৃহিত ছবি
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় একটি এতিমখানায় এতিম না থাকা সত্তেও সরকারি বরাদ্দ ১৭ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে ওই এতিমখানার সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।
হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে দুর্নীতি দমস কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়।
এ ঘটনায় এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মুনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মনিরুল ইসলাম হেতালবুনিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলাম তাঁর নিজের গ্রামে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩-২০১৪ সালে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট মঞ্জুর করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৭৯ জন এতিম ভর্তির তথ্য রয়েছে রেজিস্ট্রারে।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর কাঁঠালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন ওই এতিমখানা পরিদর্শনকালে কোন এতিম না থাকার তথ্য পায়। এ সময় তিনি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বন্ধ করে দেন। এর পরে দুদক ওই এতিমখানায় অভিযান চালায়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অভিযানকালে এতিমখানায় কোন এতিম পাওয়া যায়নি। অথচ এতিমখানা কর্তৃপক্ষ ৭৬ জন এতিম দেখিয়ে ১৭ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি বরাদ্দ আনেন। ওই টাকা পুরোটাই এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মুনিরুল ইসলাম আত্মসাত করেন। দুদকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়ার পরে বুধবার ০৩০ আগস্ট মামলা করা হয়।
মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বলেন, অনুসন্ধানকালে দুদক ওই এতিমখানায় অর্থ আত্মসাতের তথ্য পায়। এতিম না থাকা সত্তে¡ও এতিমের ভুয়া নামে বরাদ্দ এনে তা আত্মসাত করেন সাধারণ সম্পাদক। মামলাটি দায়েরর পর থেকে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি