দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি শনিবার জানা যায়।
দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ইভ্যালির চেয়ারম্যান এবং এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে গ্রাহকদের কাছে সময় চেয়েছেন ইভ্যালির এমডি মোহম্মদ রাসেল।
তিনি লিখেন, "আমরা বড় বড় সেলারদের ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি পেমেন্ট দিয়েছি। তারা আমাদের পাশে থাকতে চান। কিন্তু, মিডিয়া অথবা সোস্যাল মিডিয়া যখন ডেসটিনি এর মত কোম্পানির সাথে তুলনা করেন তখন যে কেউই ভয় পেয়ে যান। আমরা বিজনেস সবাই বুঝি। এটা একটা চলমান সম্পর্কে থাকার বিষয়। সেলস থাকলে সেলার থাকবে এবং সেলার থাকলে পণ্য থাকবে।"
"আমি বাংলাদেশের সব বড় গ্রুপ এখন যাচ্ছি। আমার হয়তো পুঁজি ঘাটতি। কেউ পুজি দিলেই কিন্ত কাল আমাকে সবাই হিরো বলত।
যেই জিনিসটা ইভ্যালি অর্জন করতে চেয়েছিল, ইভ্যালি একদম সেটার দারপ্রান্তে। এতো কিছুর পর নতুন নীতিমালার আলোকে ইভ্যালির সেলস ১০০ কোটি টাকা (পেইড)। এই সময় এসে গঠনমূলক অথবা পরামর্শমূলক আলোচনা অবশ্যই সবার উপকার হবে।"
তিনি আরও লিখেন, "ইভ্যালি নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী এবং এর চেয়েও বেশি আশাবাদী ই-কমার্স নিয়ে। বিদেশী অ্যামাজন আসলে আমরা খুশি হব স্বাভাবিক। কিন্ত দেশের কেউ ই-কমার্স লিড দিবে এটা আমি শতভাগ নিশ্চিত। কারণ আমরা এখন সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল জাতি। আমাদের একটু সময় দিন।"
এর আগে ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত ৮ আগস্ট ইভ্যালির চেয়ারম্যান এবং এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দুদক।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে