চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের নামে কোনো প্রহসন চাই না। আমাদের উচ্ছেদ করে শান্তিতে থাকতে চাইলে এ দেশ হবে আফগানিস্তান-সিরিয়া। গণতান্ত্রিক শক্তি থাকবে না, পরিণত হবে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে।
শুক্রবার বিকেলের সমাবেশে ঘোষিত আট দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। প্রতি বিভাগে মহাসমাবেশ, জেলায় জেলায় সমাবেশ এবং প্রয়োজনে ঢাকা অভিমুখে ‘লংমার্চ’ করার ঘোষণা দেন তারা।
সমাবেশে পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজ বলেন, ‘যতবেশি নির্যাতন করা হবে, আমরা ততবেশি এক হবো। আমাদের ঐক্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাংলার কৃষ্টি-কালচারের ঐক্য। একে খণ্ডন করা যাবে না।’ দাবি আদায়ে ১৯ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘৯৩ হিন্দুকে পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে। ভেটেরিনারি ও চবিতে হিন্দুদের শনাক্ত করা হচ্ছে। বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ১৫ হাজার কোটি টাকা। এর মাত্র ২০০ কোটি টাকা সংখ্যালঘুদের জন্য কেন?’
সমাবেশে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলার সনাতনীরা অংশ নেন।
সমাবেশ থেকে আচ দফা দাবি জানানো হয়। দাবি দাবিগুলো হলো-
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও
পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।
‘সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।
‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে।
‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম