অভ্যন্তরীণ সরবরাহে কোনো সংকট না থাকার পরও বাজারে বেড়ে চলেছে প্রধান নিত্যপণ্য চালের দাম। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে দুই থেকে ছয় টাকা পর্যন্ত।
এদিকে বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম, সঙ্গে বেড়েছে মুরগির দাম। ঊর্ধ্বমুখী সয়াবিন তেলের দাও। রুই মাছের দাম বেড়েছে, রপ্তানি বন্ধ হলেও কমেনি ইলিশের দাম।
এদিকে ভারতের বিকল্প হিসেবে চীন, পাকিস্তান, মিয়ানমার থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হলেও দামে কোনো হেরফের নেই, পণ্যটি কিনতে আগের মতোই উচ্চমূল্য গুনতে হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের চালের দাম ১০ দিনের ব্যবধানে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে।
বন্যায় ত্রাণ হিসেবে মোটা চালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ধান ও চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা এও বলছেন, বন্যায় আউশ ধান নষ্ট হলেও, সেই প্রভাবে এখনই চালের দামে পড়ার কথা না। তাই বাজার স্থিতিশীল রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।
সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত এক মাসে চালের দাম বেড়েছে চার দশমিক ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। আর ফার্মের মুরগির ডিমের দাম তিন শতাংশ বেড়ে গেছে।
আগে যে ডিমের দাম ছিলো ৪৮ থেকে ৫২ টাকা হালি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৫৩ টাকা।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সঙ্গে সোনালি মুরগির দামও কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা।
টিসিবির হিসাবে, গত একমাসে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে দুই শতাংশ। প্রতি লিটারে তিন টাকা বেড়ে এখন হয়েছে ১৪৮ থেকে ১৫৮ টাকা।
এদিকে গত দুই মাসে দুই লাখ ৮০ হাজার টন পেঁয়াজ আনতে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) নেন দেশের আমদানিকারকরা। ভারতের বিকল্প হিসেবে চীন, পাকিস্তান, মিশর ও থাইল্যান্ড থেকে পেঁয়াজ আনছেন আমদানিকারকরা।
দুই মাসে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ খালাস হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৮৮ টন। তবে আমদানি বাড়লেও খুচরা বাজারে দাবে প্রভাব পড়েনি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকার কমে মিলছে না।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম