পর্দায় তাঁকে যেমনই দৃশ্য দেওয়া হোক না কেন তাতে কোনও আপত্তি নেই তাঁর। যদিও অত্যাধিক ঘনিষ্টদৃশ্যে আজ পর্যন্ত অভিনয় করেননি তিনি। তাই বলে বিপরীতে ঐশ্বর্য! তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্টদৃশ্যে অভিনয় করা? সব মিলিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিলেন রণবীর কাপুরকে। আর ঐশ্বর্য?
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, তাঁর সম্পর্কে যতটাই জানা যায়, ততটাই যেন কম। তিনি প্রথম থেকেই ব্যক্তিজীবন ও পেশাগত জীবনকে আলাদা রাখতে পছন্দ করেন। তাই তাঁকে নিয়ে যতই রটনা রটে যাক না কেন, খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায়নি বচ্চনবধূকে। অন্যদিকে রণবীর কাপুর, বলিউডের অন্যতম হ্যান্ডসম এই স্টারের মনে একটা সময় একের পর এক নায়িকার জায়গা করে নিয়েছিলেন। কখনও চুটিয়ে প্রেম করে খবরে শিরোনামে এসেছিলেন, কখনও আবার বিচ্ছেদ ঝড়ে হয়েছিলেন কুপকাত। তবে রণবীর কাপুর বোল্ড দৃশ্যে বরাবরই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। পর্দায় তাঁকে যেমনই দৃশ্য দেওয়া হোক না কেন তাতে কোনও আপত্তি নেই তাঁর। যদিও অত্যাধিক ঘনিষ্টদৃশ্যে আজ পর্যন্ত অভিনয় করেননি তিনি। তাই বলে বিপরীতে ঐশ্বর্য! তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্টদৃশ্যে অভিনয় করা? সব মিলিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিলেন রণবীর কাপুরকে। আর ঐশ্বর্য?
এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চনকে বলতে শোনা গিয়েছিল তিনি বা তাঁর পরিবার কেউ ঐশ্বর্যের ওপর কিছু চাপিয়ে দেন না। পর্দায় চুমু না খাওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর। তবে অভিনয় করতে গেলে চুমু খেতেই হবে? প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক। ফলে তিনি যে এই বিষয়ের মোটেও সাবলীল নন, তা স্পষ্ট ছিল। তাই বরের মন রাখতেই কি রণবীককে অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিলে চুমুতে আপত্তি করে বসেন অভিনেত্রী?
এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য বলেছিলেন, ”আমি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী, আমি প্রথম থেকেই বেশ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করে থাকি। যার মধ্যে অন্যতম হল নিজের মতামত রাখার অধিকার। সেটে গিয়ে আমি যদি কিছু বলি, সবাই সেটাকে গুরুত্ব দেয়।” এই ছবিতে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। ঐশ্বর্য পরিচালককে জানিয়েছিলেন এই দৃশ্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা পর্দায় না রাখলেও চলবে। তাঁর কথা শুনেছিলেন পরিচালক। ঐশ্বর্য আরও বলেছিলেন, ”আমি প্রথমেই ছবিতে সম্মতি জানাইনি। বারবার ছবি নিয়ে বসা হয়েছিল, জেনেছিলাম ঠিক কেমন ঘনিষ্ট দৃশ্য রয়েছে ছবিতে…। ফলে আমার মতামত আমি জানিয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী স্ক্রিপ্ট পাল্টাতে থাকে।”