ঝালকাঠির সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে একটি বাস দুর্ঘটনায় নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালে শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় শিশুসহ প্রায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে এই দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাসটি ছত্রকান্দা এলাকায় আসার পর একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে যায়। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি উল্টে সড়কের পাশে থাকা একটি পুকুরে পড়ে যায়।
নিহতের এক স্বজন জানান, শনিবার সকালে নাঈমকে (৮) ডাক্তার দেখাতে বরিশালের বাসে ওঠেন বড় ভাই তারেক (৪০)। এ সময় পথে ধীরগতিতে গাড়ি চালিয়ে যাত্রী সংগ্রহে নির্ধারিত সময়ের অধিকাংশই শেষ হয়ে যায়। পরে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকায় গতি না কমিয়ে একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে গাড়িটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে ১৭ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহগুলো জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে বড় ভাই তারেক নিহত হলেও নাঈমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক ফিরোজ কুতুবী জানান, বিষয়টি জানার পর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩০ জনকে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা শঙ্কাজনক।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ